নিচে ছবিতে থাকা লেখাগুলি হুবহু লেখা হলো:
‘উমার ইবনুল খাতাব (রা)
নাম ‘উমার’, লকব ফারূক এবং কুনিয়াত আবু হাফস। পিতা খাত্তাব ও মাতা হান্তামা। কুরাইশ বংশের আদী গোত্রের লোক। উমারের অঙ্কে উঠে পুরুষ কা’বা নামক ব্যক্তির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা) নবুয়তের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। পিতা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। মাতার ‘হান্তামা’ কুরাইশ বংশের বিখ্যাত সেপাহসালার হিশাম ইবন মুগীরার কন্যা। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনানী খালিদ বিন ওয়ালিদ এই মুগীরার পৌত্র। ফারূক জান্নাতের ‘আশার’ একজন এবং রাসূল (সা)-এর মুখে ‘আল্লাহর ইবন খাত্তাব’ নামে কৃতিত্ব। এসময়েই হযরত উমারের মুসলিম ও ইসলামী যুগে উমারের নাম অনুপ্রেরণার পাঠ্যবিষয় নাম হয় ‘জান্নাতী উমার’- উমারের পাঠ্যভূমি। (ভাবার্থক ইবন সা’দ ৭/৬৩) উমারের চাচাত ভাই, যামির ইবন নুফাইল। হযরত রাসূল কারীমের আবির্ভাবের পূর্বে নিজের বিচার-বুদ্ধির সহায়তায় মূর্তিপূজা ত্যাগ করে একত্ববাদে অবিচল ছিলেন। যামির উমারের একজন।
রাসূলুল্লাহ (সা) যমনের সমান ত্রিশ বছর। তবে তাঁর জন্ম ও ইসলাম গ্রহণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
গায়ের রং উজ্জ্বল পাকা, টাক মাথা, গণ্ডদেশ মাংসল, ঘন দাড়ি, মোটা দুঃখ পা ও বুক এবং শরীর দীর্ঘাকৃতি। হাজার মানুষের মধ্যে তাঁকেই সবার থেকে দেখা যেত।
তাঁর জন্ম ও বাল্য সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। ইবন আসাকির তাঁর দাদীশে ‘আমর ইবন আস (রা) হতে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তাতে জানা যায়, একজন ‘আমর ইবন আস বলেছিলেন বন্ধুবান্ধব মনে আছে, এমন সময় হঠাৎ দু’ভগ্নিপতি। সংবাদ নিয়ে জানতে পেলেন, খাত্তাবের একটি ছেলে হয়েছে। এ বর্ণনা ভিত্তিতে মনে হয়, হযরত উমারের জন্মের সময় বেশ একটি আলোড়নসহ অনুষ্টিত হয়েছিল।
তাঁর যৌবনের অবস্থা প্রায় অনেকটা অজানা। কে জানতো যে এই সাধারণ একজন ধনীর যুবকটি একদিন ‘ফারূক اعظم’ পরিচয়ে ডাকবে? কেশলকের খাত্তাব পিতা তাঁকে উট চালনার কাজে লাগিয়ে দেন। তিনি মক্কার নিকটবর্তী ‘দায়ালান’ নামক স্থানে উট চরাতেন। তিনি তাঁর শিক্ষাজীবনকাল একবার তাঁর মাঠে চরাচ্ছিলেন সঙ্গীর কাছে বলেছিলেন মুহূর্তটার স্মৃতিচারণে বলেন : “আমার এক সময় ছিল যখন আমি পয়ত্রিশ বছর পরেও প্রথম দিনের খাত্তাবের উট চরাতাম। খাত্তাব ছিল রূঢ় প্রকৃতির লোক। সামান্য দেরিতেই তিনি আমাকে শাস্তি দিতেন এবং হাতের কাজ নির্দয়ভাবে হস্তাত করতেন। একদিন উট হারিয়ে গেলে নিজেই বেরিয়ে যেতেন। একাধিক ছাড়া আর কেউ তাঁর রূঢ়তা সইতে পারতো না।” (ইবনে সা’দ ৭/২৬৩-৬৭)
নিচে ছবিতে থাকা লেখাগুলি হুবহু লেখা হলো:
‘উমার ইবনুল খাতাব (রা)
নাম ‘উমার’, লকব ফারূক এবং কুনিয়াত আবু হাফস। পিতা খাত্তাব ও মাতা হান্তামা। কুরাইশ বংশের আদী গোত্রের লোক। উমারের অঙ্কে উঠে পুরুষ কা’বা নামক ব্যক্তির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা) নবুয়তের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। পিতা খাত্তাব কুরাইশ বংশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। মাতার ‘হান্তামা’ কুরাইশ বংশের বিখ্যাত সেপাহসালার হিশাম ইবন মুগীরার কন্যা। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনানী খালিদ বিন ওয়ালিদ এই মুগীরার পৌত্র। ফারূক জান্নাতের ‘আশার’ একজন এবং রাসূল (সা)-এর মুখে ‘আল্লাহর ইবন খাত্তাব’ নামে কৃতিত্ব। এসময়েই হযরত উমারের মুসলিম ও ইসলামী যুগে উমারের নাম অনুপ্রেরণার পাঠ্যবিষয় নাম হয় ‘জান্নাতী উমার’- উমারের পাঠ্যভূমি। (ভাবার্থক ইবন সা’দ ৭/৬৩) উমারের চাচাত ভাই, যামির ইবন নুফাইল। হযরত রাসূল কারীমের আবির্ভাবের পূর্বে নিজের বিচার-বুদ্ধির সহায়তায় মূর্তিপূজা ত্যাগ করে একত্ববাদে অবিচল ছিলেন। যামির উমারের একজন।
রাসূলুল্লাহ (সা) যমনের সমান ত্রিশ বছর। তবে তাঁর জন্ম ও ইসলাম গ্রহণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
গায়ের রং উজ্জ্বল পাকা, টাক মাথা, গণ্ডদেশ মাংসল, ঘন দাড়ি, মোটা দুঃখ পা ও বুক এবং শরীর দীর্ঘাকৃতি। হাজার মানুষের মধ্যে তাঁকেই সবার থেকে দেখা যেত।
তাঁর জন্ম ও বাল্য সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। ইবন আসাকির তাঁর দাদীশে ‘আমর ইবন আস (রা) হতে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তাতে জানা যায়, একজন ‘আমর ইবন আস বলেছিলেন বন্ধুবান্ধব মনে আছে, এমন সময় হঠাৎ দু’ভগ্নিপতি। সংবাদ নিয়ে জানতে পেলেন, খাত্তাবের একটি ছেলে হয়েছে। এ বর্ণনা ভিত্তিতে মনে হয়, হযরত উমারের জন্মের সময় বেশ একটি আলোড়নসহ অনুষ্টিত হয়েছিল।
তাঁর যৌবনের অবস্থা প্রায় অনেকটা অজানা। কে জানতো যে এই সাধারণ একজন ধনীর যুবকটি একদিন ‘ফারূক اعظم’ পরিচয়ে ডাকবে? কেশলকের খাত্তাব পিতা তাঁকে উট চালনার কাজে লাগিয়ে দেন। তিনি মক্কার নিকটবর্তী ‘দায়ালান’ নামক স্থানে উট চরাতেন। তিনি তাঁর শিক্ষাজীবনকাল একবার তাঁর মাঠে চরাচ্ছিলেন সঙ্গীর কাছে বলেছিলেন মুহূর্তটার স্মৃতিচারণে বলেন : “আমার এক সময় ছিল যখন আমি পয়ত্রিশ বছর পরেও প্রথম দিনের খাত্তাবের উট চরাতাম। খাত্তাব ছিল রূঢ় প্রকৃতির লোক। সামান্য দেরিতেই তিনি আমাকে শাস্তি দিতেন এবং হাতের কাজ নির্দয়ভাবে হস্তাত করতেন। একদিন উট হারিয়ে গেলে নিজেই বেরিয়ে যেতেন। একাধিক ছাড়া আর কেউ তাঁর রূঢ়তা সইতে পারতো না।” (ইবনে সা’দ ৭/২৬৩-৬৭)
যদি আপনি এই লেখাটিকে MS Word বা PDF আকারে চান, জানাতে পারেন।