
















আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহর ৯৯টি নাম রয়েছে, এক কম একশত। যে ব্যক্তি এগুলো মুখস্থ করবে (বিশ্বাসসহ), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (বুখারি: ২৭৩৬, মুসলিম: ২৬৭৭)






পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের সময় ও ওয়াক্তের সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
নামাজ ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের অন্যতম এবং এটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পাঁচটি সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ, যা একজন মুমিনের আত্মশুদ্ধি, শৃঙ্খলা ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সময়ানুসারে নামাজের সঠিক ওয়াক্ত জানা এবং তা যথাযথভাবে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
এই প্রবন্ধে নামাজের সময়সূচী ও প্রতিটি ওয়াক্তের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি নামাজের সময় নির্ধারণের পদ্ধতি, ইসলামে সময়ানুগ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব এবং বিভিন্ন দেশের সময়ভেদে নামাজের ওয়াক্ত পরিবর্তনের বিষয়ও এতে তুলে ধরা হয়েছে।
ফজর
ফজর নামাজের ওয়াক্ত
সমস্ত মাজহাবের একমত:
শুরু: সুবহে সাদিক (ভোরের প্রথম আলো ফুটলে)।
শেষ: সূর্যোদয়ের আগে।
মাজহাব অনুসারে আদর্শ সময়:
হানাফি: কিছুটা দেরিতে (আলো ছড়িয়ে পড়লে) পড়া উত্তম।
মালিকি, শাফিয়ি, হানবলি: সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার সাথেই পড়া উত্তম।
ফজরের সুন্নত দুই রাকাত খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা রাসূল (সা.) কখনো বাদ দিতেন না। (বুখারি: ১১৬৬) বিস্তারিত জানুন..
যোহর
জোহর নামাজের ওয়াক্ত সমস্ত মাজহাবের একমত:
শুরু: সূর্য যখন ঠিক মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে (যোহরের সময় প্রবেশ করে)।
শেষ: আসরের ওয়াক্ত শুরুর আগ পর্যন্ত।
মাজহাব অনুসারে আদর্শ সময়:
হানাফি: গরমের দিনে কিছুটা দেরিতে পড়া উত্তম (বুখারি: ৫৩৯), শীতকালে তাড়াতাড়ি পড়া উত্তম।
মালিকি, শাফিয়ি, হানবলি: সাধারণত শুরুতেই পড়া উত্তম, তবে প্রচণ্ড গরমে কিছুটা দেরি করা যায়।
হাদিস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন গরম তীব্র হয়, তখন জোহর নামাজ বিলম্ব করো, কারণ তীব্র গরম জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আসে।” (বুখারি: ৫৩৭) বিস্তারিত জানুন..
আসর
আসর নামাজের ওয়াক্ত সমস্ত মাজহাবের একমত:
শুরু: যখন জোহরের শেষ সময় হয়, অর্থাৎ প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার আসল দৈর্ঘ্যের সমান বা তার চেয়ে বেশি হয়।
শেষ: সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে।
মাজহাব অনুসারে আদর্শ সময়:
হানাফি: যখন বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হয় তখন থেকে আসর শুরু (বুখারি: ৫৯৭)।
মালিকি, শাফিয়ি, হানবলি: বস্তুর ছায়া একগুণ হলেই আসর শুরু হয়।
হাদিস: রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়, সে যেন তার পরিবার ও সম্পদ ধ্বংস করে ফেলল।” (মুসলিম: ৬২৭) বিস্তারিত জানুন..
মাগরিব
মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত সমস্ত মাজহাবের একমত:
শুরু: সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই।
শেষ: লাল আভা মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
মাজহাব অনুসারে আদর্শ সময়:
সমস্ত মাজহাব: মাগরিব নামাজ দ্রুত পড়াই উত্তম।
হানাফি: ইফতারের পর কিছুটা বিরতি নেওয়া যায়, তবে বিলম্ব করা অনুত্তম।
হাদিস: রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমার উম্মত এখনো কল্যাণে আছে, যতক্ষণ তারা মাগরিব নামাজ তাড়াতাড়ি পড়ে।” (আবু দাউদ: ৪১৮) বিস্তারিত জানুন..
এশা
এশা নামাজের ওয়াক্ত সমস্ত মাজহাবের একমত:
শুরু: মাগরিবের শেষ সময়ের পর (আকাশের লালচে আভা মিলিয়ে গেলে)।
শেষ: রাতের অর্ধেক বা শেষ তৃতীয়াংশ পর্যন্ত।
মাজহাব অনুসারে আদর্শ সময়:
হানাফি: রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরি করা উত্তম।
মালিকি, শাফিয়ি, হানবলি: প্রথম অর্ধেকের মধ্যে পড়া উত্তম, তবে বেশি দেরি না করাই ভালো।
হাদিস: রাসূল (সা.) বলেছেন, “যদি কষ্ট না হতো, তাহলে আমি উম্মতের জন্য এশা নামাজ দেরিতে পড়ার নির্দেশ দিতাম।” (মুসলিম: ৬৩৮) বিস্তারিত জানুন..


























আশারাহ মুবাশশারাহ
ইসলামের ইতিহাসে আশারাহ মুবাশশারাহ (দশজন জান্নাতপ্রাপ্ত সাহাবি) বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তারা রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর ঘনিষ্ঠ সাহাবি ছিলেন এবং ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের ঈমান, আত্মত্যাগ ও আল্লাহর পথে সংগ্রামের কারণে রাসুলুল্লাহ ﷺ নিজেই তাঁদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁদের জীবন আমাদের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
আপনার যেকোনো প্রশ্ন, পরামর্শ বা সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা সর্বদা আপনার সেবায় প্রস্তুত। নিচের ফর্মটি পূরণ করে আমাদের কাছে আপনার বার্তা পাঠান, এবং আমরা দ্রুত আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
আপনার মূল্যবান মতামত ও জিজ্ঞাসা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্দ্বিধায় আমাদের লিখুন!